পৌর নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করল বিএনপি

রাজনীতি
বিশেষ প্রতিনিধি।
০৩:১০:৫৮পিএম, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০
ছবি- সংগৃহীত।

২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপে দেশের ২৪ পৌরসভায় ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমানে এই নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভুয়া, চোর, এটি আমার কথা নয়, বিশিষ্ঠজনদের কথা। তাদের নিয়ে কথা বলাটাই অপমানজনক।

আজ মঙ্গলবার ২৯ ডিসেম্বর সকালে ঠাকুরগাঁও শহরের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ সব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এ সরকারের আমলে এই নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় কখনই কোনো সুষ্ঠু নির্বাচত হতে পারে না।  আরেকবার সেটি প্রমাণ হলো। পৌর নির্বাচনে আমরা একটিও বর্জন করিনি। এই নির্বাচনের ফল কী তা জনগণ দেখেছে। আমরা দুটো বাদ দিয়ে সবগুলোর ফল প্রত্যাখ্যান করেছি। তিনি বলেন, প্রথম দফায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনী ফল পুনর্নির্ধারিত।

গতকাল সোমবার পৌর নির্বাচনের প্রথম দফায় ২৪ পৌরসভায় ভোট গ্রহণ করা হয়।  ভোট চলাকালেই বিএনপি ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তোলে। শেষ পর্যন্ত বেশিরভাগ পৌরসভাতেই মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।

আবারও ইভিএমে অনাস্থার কথা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এগুলো আপনার কিছু কিছু পূর্ব নির্ধারিত বটেই, কিছু ইভিএমের (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) কারসাজি। আমরা ইভিএমে বরাবরই আপত্তি জানিয়ে এসেছি যে, ইভিএমে সবচেয়ে বেশি কারচুপির সুযোগ। কারণ আমাদের দেশের মানুষ এখনও বুঝতেই পারে না ইভিএম কী? 

তিনি বলেন, আজকে যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, ইউরোপ, ভারতও ইভিএমের বিরুদ্ধে কথা বলছে। এই মেশিন দিয়ে সঠিক নির্বাচন কখনই সম্ভব নয়। 

ঠাকুরগাঁও বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

২০২০ সালে সরকারের কর্তৃত্ববাদের চেহারা পরিষ্কার হয়েছে। এ বছর ধর্ষণ, দুর্নীতি, লুটপাট, জনগণের অধিকার হরণ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তাই এ বছরে ভালো কিছু প্রাপ্তি নেই। তবে আমি আশা করি– ২০২১ সালে জনগণ অন্তত অধিকার ফিরে পাবে এবং ঐক্যবদ্ধ হবে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আগেও বলেছি– ইভিএম আমাদের দেশের জন্য উপযোগী নয়। এতে সবচেয়ে বেশি ভোট চুরি হচ্ছে। কারণ ভোট যেখানেই দেন না কেন, তাদের কাছেই বেশি যাবে। কারণ সেভাবেই মেশিন আগে প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। করোনাভাইরাসের টিকা আনার চুক্তি হচ্ছে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাকে দিয়ে, যা ব্যক্তিমালিকানায়। এতে টিকাপ্রতি দেড় ডলারের বেশি নির্ধারণ করা হচ্ছে।

এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহসভাপতি আল মামুন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদসহ অন্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরে তিন দিনের সফরে আসা মির্জা ফখরুল ঢাকার উদ্দেশে ঠাকুরগাঁও ত্যাগ করেন।