রাজশাহীতে তৈরি হচ্ছে বঙ্গবন্ধু ‘হাইটেক পার্ক’ ব্যাপক কর্মসংস্থানের হাতছানি

তথ্যপ্রযুক্তি
প্রযুক্তি ডেস্ক।
১২:০১:১১পিএম, ২০ ডিসেম্বর, ২০২০
ফাইল ছবি।

রাজশাহীতে তৈরি হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক’। শুধু রাজশাহীতে এ আইসিটি খাতে প্রায় ১৪ হাজার কর্ম সংস্থানের লক্ষ নিয়ে ৩১ দশমিক ৬৩ একর এলাকা জুড়ে পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও শিক্ষানগরী খ্যাত রাজশাহীতে এ হাইটেক পার্ক তৈরি হচ্ছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২৮৮ কোটি টাকা।

রাজশাহীর এই হাইটেক পার্ককে ঘিরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করতে নতুন রূপে প্রস্তুত হচ্ছে পদ্মাপাড়ের এই মেট্রোপলিটন শহরটি। চার লেনের সড়ক ও পাঁচ তারকা মানের আবাসিক হোটেলসহ নান্দনিক রূপে সাজানো হচ্ছে নগরীকে।

এরই মধ্যে প্রকল্পের প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন আগামী ২০২১ সালের মধ্যেই প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হবে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পার্ক এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এজন্য জেলার একমাত্র বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তর করা হচ্ছে। নগরে বিভিন্ন সড়ক প্রশস্ত করে চার লেনে উন্নীত করার কাজ করছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক)।

রাজশাহীর সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, শিল্পায়নের দিক থেকে বরাবরই পিছিয়ে আছে রাজশাহী। হাইটেক পার্কের মাধ্যমে আমরা নতুন দিনের সম্ভাবনায় মুখিয়ে আছি। আর এ হাইটেক পার্কের সঙ্গে যেন এ মহানগর ও জেলার সঙ্গে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন করছি। এক্ষেত্রে আমরা আকাশ পথের যোগাযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের এখানে যে অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরটি আছে সেটিকে আমরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপ দেয়ার চেষ্টা করছি। এরই মধ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। বিমানবন্দরে আরেকটি রানওয়ে বাড়িয়ে এটি করা হবে।

এর বাইরে হাইটেক পার্কের সঙ্গে যেন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয় তার জন্য হাইটেক পার্কগামী নগরের ভেতরের বিভিন্ন সড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে।

তিনি আরও বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের থাকার জন্য মানসম্পন্ন একটি পাঁচ তারকা মানের হোটেল তৈরি করা হচ্ছে।

পদ্মারপাড়েই এটি করা হবে। একইসঙ্গে হাইটেক পার্ক প্রকল্পের আশপাশে পদ্মাপাড়ের পাঁচ থেকে ছয়টি পয়েন্টে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব স্থানে দর্শনার্থীদের বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে। এর পাশাপাশি হাইটেক পার্ক প্রকল্প এলাকার মধ্যে একটি কনভেনশন সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানান রাজশাহীর এ নগর পিতা।

মেয়র বলেন,বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের মাধ্যমে স্থানীয় স্টার্টাপগুলোকেও সহায়তা করা হবে। এর জন্য স্টার্টাপ প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় তরুণ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে একাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রির একটি সেতুবন্ধন তৈরিতেও কাজ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের একান্ত সচিব ও ওয়ান স্টপ সার্ভিসেসের (ওএসএস) প্রধান সমন্বয়কারী কল্যাণ কুমার সরকার জানান, এখানকার স্থানীয় তরুণ উদ্যোক্তা ও স্টার্টাপগুলোকে নিয়ে কাজ করতে চায় বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।

এর জন্য তাদের ‘মেন্টরিং’ ও ‘গাইড’ করার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি), রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) ও রাজশাহী কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এসব উদ্যোক্তা ও তরুণ আইসিটি পেশাজীবীরা যেন ব্যবসায়িকভাবেও ভালো করতে পারেন তার জন্য ব্যবসায়ীদের স্থানীয় চেম্বারের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ স্থাপনে কাজ করছেন তারা।